Ans:-
রাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল আইন প্রণয়ন করা। আইন প্রণয়ন করার প্রতিটি রাষ্ট্রের আইনসভা তৈরি হয়েছে, আইনসভা একটি কক্ষ বা দুটি কক্ষ নিয়ে গঠিত হতে পারে। যে আইনসভা একটি কক্ষ নিয়ে গঠিত হয় তাকে এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা বলা হয়। আবার যে আইনসভা দুটি কক্ষনীয় গঠিত হয় সেই আইনসভা কে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা বলে। গণপ্রজাতন্ত্রী চীন গ্রীস তুরস্ক রোমানিয়া প্রভৃতি দেশে আইনসভা এক কক্ষ বিশিষ্ট। অন্যদিকে ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স প্রতিটি দেশে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার উপর বেশ নজর দেওয়া হয়।
পক্ষে যুক্তি:-
আইনসভার দুটি কক্ষ থাকলে জাতীয় আইন সভার জন্য এক বছর ব্যবস্থায় সকল বিষয়ে বিস্তৃত ও সুচিন্তিত ভাবে আইন প্রণয়ন করা সম্ভব হয় না।
i. স্বৈরাচারিতা রোধ:-
অধ্যাপক গ্ৰাইস এর মতে আইনসভার অন্তর্নিহিত প্রভৃতি হল অসং যোগী ও স্বৈরাচারী হওয়া। দুটি কক্ষ একে অপরের স্বৈরাচার ী মনোভাব কে সংযত রাখতে পারে। ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখা এবং নাগরিক অধিকারী রক্ষায় দুটি বিশেষ প্রয়োজন।
ii. জনমতের প্রতিফলন:-
আইনসভার দুটি কক্ষ থাকলে জনমতের যথার্থ প্রতিফলন সম্ভব হয়। একটি কক্ষ থাকলে এমন একই সময়ে সদস্য গড় নির্বাচিত হলে, এই নিরিষ্ঠ সময়ের মধ্যে জনমতের পরিবর্তন আইন সভায় প্রতিফলিত হতে পারে না।
iii. সকল শ্রেণীর প্রতিনিধি:-
দ্বিকক্ষ ব্যবস্থায় সমাজের সকল শ্রেণীর স্বার্থের প্রতিফলন সম্ভব হয়। এক কক্ষ বিশিষ্ট সবাই প্রত্যক্ষ নির্বাচন এর মাধ্যমে সকল শ্রেণীর উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব হয় না।
iv. যুক্তরাষ্ট্রের প্রয়োজনীয়তা:-
যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থায় জাতির স্বার্থ ও আঞ্চলিক স্বার্থের সমন্বয় সাধন করা যায়। জনসমর্থনের ভিত্তিতে নিম্নকক্ষে জাতীয় স্বার্থে প্রতিনিধিগণ ও অঙ্গরাজ্যের স্বার্থ ও সংরক্ষণের জন্য অঙ্গরাজ্যের প্রতিনিধিত্ব নিয়ে দ্বিতীয় কক্ষ যথার্থ সামান্য সাধন করতে পারে। নিম্নকক্ষে প্রত্যেক নির্বাচনে সংখ্যা লঘুদের প্রতিনিধি থাকা অনেক সময় সম্ভব হয় না। উচ্চকক্ষ থাকলে রাষ্ট্রপতি সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রতিনিধির পাঠানোর ব্যবস্থা করে থাকেন।
বিপক্ষে যুক্তি:-
i. অনাবশক:-
দ্বিতীয় কক্ষ যদি প্রথম কক্ষে এক কচু হয় আর যদি এক মত না হয় তবে তা অনিষ্ট পথ। উচ্চকক্ষ যদি নিম্নকক্ষে মেনে নেয় তাহলে উচ্চকক্ষের অস্তিত্বে কোন সতর্কতা থাকে না।
ii. অগণতান্ত্রিক:-
দ্বিতীয় পক্ষের গঠন-অগণতান্ত্রিক গণতন্ত্রের আইনসভা গঠিত হবে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি দ্বারা কিন্তু দ্বিতীয় পক্ষের সদস্য সভা মনোনীত হয়।
iii. ব্যয়বহুল:-
দী কক্ষ থাকলে তার জন্য রাষ্ট্রের এই অপচয় বন্ধ করে সেই দিয়ে জনকল্যাণ মূলক কাজ করা যেতে পারে। এক কক্ষ যদি মনোযোগ সহকারে আইন প্রণয়ন করতে পারে তবে দী কক্ষের প্রয়োজন হবে না অনেক সময় দ্বিকক্ষ অযথা আইনটিকে আটকে রাখে।
[postx_template id=”1679″]