শিখন ও পরিণমনের বৈশিষ্ট্য গুলি আলোচনা করো?

 Answer:- পরিনমন হল এমন একটি জন্মগত প্রবণতা যা স্বাভাবিকভাবে পরিস্ফুট হওয়ার ফলে শিশুর আচরণের পরিণমনগত ও গুণগত পরিবর্তন ঘটে। পরিনমন হল শিখন প্রস্তুতির সহায়ক উপকরণ। পরিনমন শিশুর শিখনে এর বিশেষ ভূমিকা পালন করে। শিখন এর পরিণমনের ভূমিকা হল—————

 i. শিখনের গতি ও সীমা নির্ধারণ:-

          মাতৃগর্ভে ধুমসঞ্চার থেকে শিশুর পরিনমন ঘটে থাকে। নির্দিষ্ট পরিনমনের পর শিখন শুরু হয় এবং তা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চলতে থাকে। পরিণমনে ঠিক করতে পারে যে কোন সময়ে কোন ধরনের শিখন সার্থক হবে।

 ii. জ্ঞান ইন্দ্রিয় ও কর্ণেন্দ্রিয় সমন্বয়:-

শিক্ষার্থীর সার্থক বিকাশ নির্ভর করে জ্ঞান ইন্দ্রিয় কর্ণেন্দ্রিয় সমন্বয়ে পরিণমন সার্থকভাবে উভয়ের মধ্যে সমন্বয় ঘটায় যা শিক্ষার্থীকে যেকোনো বিষয় শিখতে সাহায্য করে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

iii. শিখন ত্বরান্বিত করণ:-

পরিণমন শিখনকে ত্বরান্বিত করে। অর্থাৎ শিক্ষার্থীর উপযুক্ত ক্লান্তি ঘটলে যে কোন বিষয় তারা অতিদুত করতে পারবে।

iv. ভাষার বিকাশ:-

শিশুর ভাষার বিকাশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পরিণমন। পরিনমন ছাড়া শিশুর বিকাশ সম্ভব নয়।

v. পরিকল্প মাপিক শিক্ষা দান:-

পরিনমনের মাটি র উপর নির্ভর করে শিক্ষা পরিকল্পনার বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে শিশুর শিক্ষার জন্য পরিকল্পনা হয়। এবং সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী শিক্ষার্থীকে শিক্ষাদান করা হয়।

vi.শিখন প্রচেষ্টার কার্যকারিতা:-

পরিণমন শিখন প্রচেষ্টাকে কার্যকারী করতে সাহায্য করে।

vii. উন্নত ও জটিল আচরণ সম্পাদন:-

উন্নত ও জটিল আচরণগত পরিবর্তনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীকে অনেক বেশি সক্রিয় করে তোলে। ফলের শিক্ষার্থী যেকোনো জটিল সমস্যা সমাধান করতে পারে।

মূল্যায়ন:-

সর্বশেষ আলোচনা থেকে বলা যায় পরিনমনের সঙ্গে শিখন এর একটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বর্তমান। শিশু কেবলমাত্র পরিণমনের দ্বারা সব ধরনের ক্ষমতা অর্জন করতে পারে না।

Rate this post

Leave a Comment