ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পদ্ধতি আলোচনা কর।

Ans:-

ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রত্যক্ষভাবে জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হয় না। পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের নির্বাচিত সদস্য এবং রাজ্য বিধান সভা গুলির নির্বাচিত সদস্যের দ্বারা গঠিত একটি নির্বাকে মন্ডলীর দ্বারা একক হস্তান্তরযোগ্য সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে তিনি বা রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

 নির্বাচন পদ্ধতি:-

ভারতের রাষ্ট্রপতি যখন নির্বাচিত হয় তখন তাকে তিনটি পর্যায়ের মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয়। যথা—

প্রথম পর্যায়ে:-

প্রথম পর্যায়ে প্রত্যেক কাজের বিধায়কদের ভোট সংখ্যা বা ভোট মূল্য নির্ণয় করা হয়। এই ভোট মূল্য নির্ধারণের জন্য সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মোট জনসংখ্যা কে বিধানসভার মোট নির্বাচিত সদস্য সংখ্যা দিয়ে ভাগ করা হয়। ভাগফলকে পুনরায় ১০০০ দিয়ে ভাগ করা হয়। এর ফলে ভাগফল যা দাঁড়ায় সেটি হয় প্রত্যেক বিধায়কের ভোট সংখ্যা তবে এই ভাগের পর ভাগশেষ যদি ৫০০ বা তার বেশি হয় তাহলে প্রত্যেক সদস্য এর ভোট সংখ্যা একটি করে বেড়ে যায়।

Read More:-ভারতের রেলপথ সম্প্রসারণের সম্পর্কে আলোচনা করো

         সূত্র:-

প্রত্যেক বিধায়কের ভোট সংখ্যা বা ভোট মূল্য

রাজ্যের মোট জনসংখ্যা / বিধান ভার মোট সদস্য ÷১০০০

দ্বিতীয় পর্যায়:-

দ্বিতীয় পর্যায়ে পার্লামেন্টের প্রত্যেক সদস্য বা সদস্যকে MP ভোট মূল্য নির্ণয় করা হয়। পার্লামেন্টের উভয় কক্ষ বা লোকসভা ও রাজ্যসভার নির্বাচিত প্রত্যেক সদস্যের ভোট মূল্য নির্ণয়ের জন্য রাজ্য বিধান সভা গুলির নির্বাচিত সদস্যের ভোট সংখ্যাকে মোট নির্বাচিত সদস্য MP সংখ্যা দিয়ে ভাগ করা হয়। এই ভাগের গড় ভাগফল যা দাড়ায় সেটি হয় পার্লামেন্টের প্রত্যেক সদস্যের ভোট সংখ্যা। তবে ভাগশেষ যদি ভাগের অর্ধেক হয় তাহলে প্রত্যেক সদস্যের ভোট সংখ্যা একটি করে বেড়ে যায়।

         সূত্র:-

প্রত্যেক MP সদস্যের ভোট সংখ্যা

বিধায়কদের মোট ভোট মূল্য/ পার্লামেন্টের মোট সদস্য সংখ্যা

তৃতীয় পর্যায়ে:-

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তৃতীয় পর্যায়টি হল ভোটদার, ভোট গণনা ও ফলাফল।

ভোট দান:-

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে যতজন প্রার্থী থাকেন প্রত্যেক ভোটদাতা তাদের পছন্দ অনুসারে প্রার্থীর নামের পাশে ১,২,৩ লিখে তাদের মতামত প্রদান করতে পারেন। এখানে উল্লেখ খোঁজে ভোট দাতা দ্বিতীয় ও পরবর্তী পছন্দ না জানালেও প্রথম পছন্দ তাকে অবশ্যই জানাতে হয়। তা না হলে ভোটদাতার ভোট বাতিল বলে গণ্য করা হয়।

Read More:-স্বাধীন বাংলাদেশের উত্থানে শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা আলোচনা কর।

ভোট গণনা:-

ভোটদান সমাপ্ত হলে ব্যালট কাজে পদার্থ প্রথম পছন্দের বেদ ভোটের মোট সংখ্যাকে দুই দিয়ে ভাগ করে তার সাথে এক যোগ করা হয়। এর ফলে যে সংখ্যা পাওয়া যায় তাকে বলে কোটা। ভারতের রাষ্ট্রপতির পদে নির্বাচিত কিংবা যোগ্য হতে গেলে তাকে সর্বপ্রথম কোটা পাওয়ার যোগ্য হতে হবে।

কোটা= মোট বেদ ভোট সংখ্যা/ ২+১

ফলাফল:-

একসঙ্গে উল্লেখ যে প্রথম গণনা যদি কোটা পেয়ে যায় তাহলে তিনি বিজয়ী বলে ঘোষিত হন। কিন্তু কোন প্রার্থী কোটা না পেলে যে প্রার্থীর সবচেয়ে কম প্রথম পছন্দের ভোট পেয়েছেন তাকে নির্বাচনের লড়াই থেকে বাদ দেওয়া হয় এবং তার দ্বিতীয় পছন্দের ভোটগুলি অন্যান্য প্রার্থীদের অনুকূলে হস্তান্তর করা হয়। যতক্ষণ পর্যন্ত কোন প্রার্থী অর্জন করেন ভোট হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলতে থাকে।

সুতরাং, পরিশেষে বলা যায় ভারতের রাষ্ট্রপতি অত্যন্ত জটিল পদ্ধতিতে নির্বাচিত হয়ে থাকে।

5/5 - (1 vote)

Leave a Comment

x