অথবা
হাইকোর্টের গঠন ও কার্যাবলী আলোচনা করো।
ভূমিকা:-
সংবিধান অনুসারে একটি করে হাইকোর্ট থাকার কথা ২১৪ নং ধারায় তবে পার্লামেন্ট আইন প্রণয়ন করে দুই বা তত্ব দিক রাজ্যের জন্য একটি করে হাইকোর্ট নির্দিষ্ট করে দিতে পারে।গঠন:- সুপ্রিম কোর্টের গঠন সম্পর্কে সংবিধানের নির্দেশ আছে কিন্তু হাইকোর্ট সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। বিভিন্ন রাজ্যে হাইকোর্টে এর বিচারপতির সংখ্যা বিভিন্ন তবে ২১৬ নং ধারা অনুসারে বলা হয়েছে একজন প্রধান বিচারপতি এবং কয়েকজন বিচারপতিকে নিয়ে হাইকোর্ট গঠিত হবে রাষ্ট্রপতির প্রয়োজন অনুসারে বিচারপতির সংখ্যা নির্দিষ্ট করেন। তিনি প্রয়োজন অনুসারে বিচারপতি নিয়োগ করতে পারেন বর্তমানে ভারতের অঙ্গরাজ্যের সংখ্যা ২৯ টি কিন্তু হাইকোর্টের সংখ্যা ২১ টি, হাইকোর্টের বিচারপতিরা বর্তমানে ৬২ বছর পর্যন্ত নিজের পদে থাকতে পারেন তবে প্রমাণিত হয় অসদ আচরণ অভিযোগের ভিত্তিতে পার্লামেন্টের উভয়কক্ষের মোট সদস্য অধিকাংশ এবং ভোট দানকারী সদস্য দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন রাষ্ট্রপতি অভিযুক্ত বিচারপতিকে অপসারিত করতে পারে। কলকাতা হাইকোর্টে এলাকাধীন হল পশ্চিমবঙ্গ আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ।
হাইকোর্টের ক্ষমতা ও কার্যাবলী:-
হাইকোর্টের ক্ষমতা ও কার্যাবলী নিম্নলিখিত কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করে আলোচনা করা যেতে পারে।মূল এলাকার সম্পর্কিত ক্ষমতা:- রাজস্ব সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় হাইকোর্টের মূল এলাকার অন্তর্ভুক্ত অনেক ক্ষেত্রে দেওয়ানী মামলা কেউ মূল এলাকার অন্তর্ভুক্ত করা হয় তবে সব হাইকোর্টের মূল এলাকা অন্তর্ভুক্ত ক্ষমতা নেই শুধুমাত্র কলকাতা চেন্নাই মুম্বাই হাইকোর্টে এই ক্ষমতা রয়েছে।
আপিল এলাকা সম্পর্কিত ক্ষমতা:-
রাজ্যের সর্বোচ্চ আপিল আদালত হল হাইকোর্ট দেওয়ানী ও ফৌজদারি মামলার বিষয়ে হাইকোর্টে আপিল করা যায়। দেওয়ানী মামলার ক্ষেত্রে জেলা জজ ও অধস্থন জেলা জজের দেওয়া রাজ্যের হাইকোর্টে আপিল করা যায়। আবার ফৌজদারী মামলার বিরুদ্ধে দায়রা আদালত জর্জ কোন ব্যক্তিকে কড়া দ্বন্দ্ব দিলে সেই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করা যায়।
লেক জারি ক্ষমতা:-
সুপ্রিম কোর্টের মতো হাইকোর্ট গুলিও নিজ নিজ এলাকার মধ্যে সংরক্ষণ বন্দি প্রত্যয় করন ও পরমাদেশ প্রতিষেক অধিকার পৃচ্ছা উৎপ্রেষণ লেখ নির্দেশ ও আদেশ জারি করতে পারে। [ ২২৬ নং ধারা অনুসার]
সংবিধান বৈধতা বিচারের ক্ষমতা:-
কেন্দ্রীয় ও রাজ্য কর্তৃক প্রণীত আইনে সাংবিধানিক বৈধতা বিচার করার ক্ষমতা হাইকোর্টে রয়েছে। এক্ষেত্রে অসাংগিক প্রণীত যেকোনো আইনকে অসংবিধানিক হাইকোর্ট অসাংগিক করতে পারে।
তত্ত্বাবধান ক্ষমতা:-
সংবিধানের ২২৭ নং ধারা অনুযায়ী সামরিক আদালত ও সামরিক ট্রাইবুনাল রায় নিজ এলাকার অন্তর্ভুক্ত সব আদালত ও ট্রাইবুনাল তত্ত্বাবধান এর অবদান হাইকোর্টে দেওয়া আছে।
মামলা অধিক গ্রহণের ক্ষমতা:-
সাংবিধানিক ব্যাখ্যা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ জড়িত আছে এমন কোন মামলা নিম্ন আদালত দেওয়ার নিজের ক্ষমতা হাইকোর্টে দেওয়া রয়েছে ২২৪ নং ধারা অনুসারে।নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা:- অধস্থন আদালত গুলিকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা হাইকোর্টে রয়েছে, জেলা আদালত ও অন্যান্য অধস্তন আদালত বিচারপতি কর্মচারীদের নিয়োগ ও পদচ্যুত ইত্যাদি বিষয়ে হাইকোর্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অন্যান্য ক্ষমতা:-
হাইকোর্ট নিজের অবমাননার জন্য অবমাননাকারীকে শাস্তি প্রদান করতে পারে হাইকোর্ট নিজে এর অধীনে হিসাবে কাজ করতে পারে।
উপসংহার:-
অঙ্গ রাজ্য এগুলিতে সর্বোচ্চ আদালত হল হাইকোর্ট এর অবস্থান রাজ্যগুলিতে যথাযথভাবে শীর্ষে রয়েছে। তবে হাইকোর্টের গঠন ক্ষমতা পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাবে যে এই আদালত প্রকৃতপক্ষে সর্বভারতীয় বিচার ব্যবস্থার একটি অঙ্গ হাইকোর্ট গঠন ও কাজ-কর্মের কেন্দ্রীয় সরকারের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।