Ans:-
ভূমিকা:-
ডিটেলস বিশ্বযুদ্ধের অবসানের পর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ আঞ্চলিক ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার বৃদ্ধির লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি সংগঠন গড়ে তুলেছিলেন। তাদের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন সংগঠন গুলির মধ্যে ‘ South Asian association for regional cooperation’ বা সংক্ষেপে SAARC বলা হয়।
শার্ক সংগঠনের প্রক্রিয়া:-
সে বিষয়ে বিভিন্ন পন্ডিত বিভিন্ন মতপ্রকাশ করেছেন তাই যেমন—
I. এশীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন:-
১৮৮৯ সালে এপ্রিল মাসে ব্রিটিশ ভারতের রাজধানীর দিল্লিতে আয়োজিত এসিও আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ভারতীয় নেত্রীবর্গ দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নের স্বার্থে একটি আঞ্চলিক সংগঠন গড়ে তোলার কথা চিন্তা করেছেন।
Ii. পঞ্চাশের দশকের সম্মেলন:-
১৯৫০ সালে মে মাসে ফিলিপিনস এর ‘বাহু ও’ সম্মেলনে এবং ১৯৫৪ সালে এপ্রিল মাসে ‘কঙ্গো’ সম্মেলনে বিভিন্ন দেশগুলির মধ্যে জোট গঠনের কথা ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন:- হাইকোর্টের গঠন,ক্ষমতা ও কার্যাবলী আলোচনা করো।
Iii. বাংলাদেশের উদ্যোগ:-
বাংলাদেশের প্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীন বাংলাদেশের উত্থান ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি আঞ্চলিক সহযোগিতার মঞ্চ গঠনের প্রথা চিন্তা করেন তিনি।
সার্ক প্রতিষ্ঠা:-
সার্ক প্রতিষ্ঠার বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন তৎকালীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে জিয়াউর রহমান শ্রীলংকা শহরের সময় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া বৃদ্ধির জন্য দক্ষিণ এশীয় সংগঠন এর মত একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে আগ্রহী হন। জিয়াউর রহমানের উদ্যোগে বাংলাদেশ ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ এই সাতটি দেশ নিয়ে গঠিত হয় সার্ক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় ১৯৮৫ সালে জিয়াউর রহমান স্যারকে সভাপতি পদ গ্রহণ করেন।
সার্ক গঠনের উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য:-
সার্ক গঠনের প্রধান উদ্দেশ্য গুলি ছিল—
I. উন্নয়ন:-
সার্ক সদস্যভুক্ত রাষ্ট্রগুলির অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং সামাজিক অগ্রগতির উন্নয়ন ঘটানো।
Ii. জনকল্যাণ:-
দক্ষিণ এশিয়ার জনগণের কল্যাণ সাধন এবং তাদের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন করা।
Iii. বোঝাপড়া:-
সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে পারস্পরিক বোঝা পড়ার বিশ্বাস ও সংবেদনশীলতার পরিবেশ তৈরি করা।
আরও পড়ুন:- স্বাধীন বাংলাদেশের উত্থানে শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা আলোচনা কর।
Iv. আত্মনির্ভরতা:-
সার্ক এর প্রতিটি সদস্য ও রাষ্ট্রের মধ্যে স্বাধীনতার আদর্শ ও যৌথ আত্মনির্ভরতা গড়ে তোলা।
V. নিরাপত্তা:-
দক্ষিণ এশীয়া অঞ্চলের নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও পারস্পরিক বিভাগকে প্রতিহত করা।
Vi. অর্থ সামাজিক আদান-প্রদান:-
অর্থ সামাজিক আদান-প্রদান কারিগরি ও সংস্কৃতি দিক থেকে সহযোগিতার ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
Vii. সংস্কৃতিক আদান-প্রদান:-
পারস্পরিক সহযোগিতা ও সংস্কৃতিক দিক থেকে আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে সার্কের সদস্য দেশগুলির অগ্রগতি ঘটে।
মূল্যায়ন:-
পরিশেষে বলা যায় যে সার্ক এর সদস্য রাষ্ট্রগুলি কৃষি স্বাস্থ্য জনকল্যাণ গ্রামীণ বিকাশ পরিবহন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নতি ও প্রভৃতি বিষয়ে বিশেষ নজর দিয়ে ছিল। তবে শার্ট এর সম্পূর্ণ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়েছে তা বলা যায় না।
আপনার কি মনে হয়…?
এই প্রশ্নটা কি আগামী 27।2।2024….. এ পড়বে….?
আশা করছি প্রশ্নের উত্তর দেবেন……🤗
বন্ধু এই প্রশ্নটি এই বছর আসার অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সার্ক এবং কিউবা এই দুটি প্রশ্ন ভালোভাবে দেখে গেলে আশা করি একটি কমন পাবে।