Answer:- জন্মের পর থেকে শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশের ধারাকে অনুশীলন করলে তার মধ্যে কতগুলি বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়। যে শিশু একদিন অসহায় ভাবে ভূমিষ্ঠ হয় সেই একদিন বসতে পারে এবং হামাগুড়ি দিতে পারে, দাঁড়াতে পারে, হাঁটতে পারে, এমনই ভাবে শিশুর জন্মে পর পর্যায়ের কতগুলি আচরণ সম্পাদন করতে পারে। এগুলির সম্পাদনের জন্য শিশুকে কোন পূর্ণ অভিজ্ঞতা ব্যবহার করতে হয় না। জীবনের স্বাভাবিক পরিণতি হিসেবে শিশুর মধ্যে এসে থাকে। মানবিকগণ এর কারণ হিসাবে যে বিকাশের প্রক্রিয়া উল্লেখ করেছেন তা হল পরিণমন।
পরিনামনের বৈশিষ্ট:-
পরিণমনের এই আলোচনা থেকে আমরা এই প্রক্রিয়া নিজস্ব কতগুলি বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করতে পারি।
বিকাশের প্রক্রিয়া:-
পড়িনমনে কোন বিশেষ্য আচরণ নেই। শিশুর হাঁটতে পারা তার আচরণ পরিণমন কোন কাজের দাম নয়। পরিনমন এক ধরনের প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ব্যক্তির আচরণগত পরিবর্তন আসে।
স্বাভাবিক প্রক্রিয়া:-
পরিনমনের জন্য অতীত অভিজ্ঞতা বা প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয় না। তাই এটি বাহ্যিক নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই সংঘটিত হয়।
পরিণমন জৈবিক বিকাশ:-
পরিণমন মূলত ব্যক্তির জীব ধর্মের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তির জৈবিক কেন্দ্রের বিকাশের কোন ত্রুটি থাকলে তার কোনো পরিনমন লব্ধ আচরণের ত্রুটি পূরণ হয়।
অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া:-
পরিনমন সম্পূর্ণভাবে ব্যক্তির অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া বাহ্যিক পরিবেশের উপাদানের দ্বারা প্রভাবিত নয়।
নতুন চাহিদা সৃষ্টি প্রক্রিয়া:-
পরিণমন প্রক্রিয়ায় শক্তি ব্যক্তির চাহিদার দ্বারা নির্ধারিত হয় না। তার পরিণমন প্রক্রিয়া ব্যক্তির মধ্যে যে পরিনমন আছে তা নতুন চাহিদা সৃষ্টি করতে পারে।
দৈহিক প্রক্রিয়া:-
পরিণমনের ফলে দেহে সঞ্চালন গত পরিবর্তন হয়ে থাকে। পরিণমন মূলত বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যক্তিকে দৈহিক ক্ষমতা অর্জন করে।
সর্বজনীন:-
প্রতিটি ব্যক্তির ক্ষেত্রে সর্বজনীন প্রায় সমান প্রতিটি বয়স অনুসারে প্রতিটি ব্যক্তি প্রায় একই রকম ঘটে থাকে।
জীবনব্যাপী প্রক্রিয়া নয়:-
পরিনমন জীবনের একটি বিশেষ পর্যায়ে শুরু হয়। একটি বিষয়ে পর্যায় শেষ হয়। তাই এটি জীবনব্যাপী প্রক্রিয়া।
মূল্যায়ন:-
উপরের পরিপ্রেক্ষিতে বৈশিষ্ট্যে বলা হয় যে পরিনমন হলো ব্যক্তির জীবন বিকাশের একটি স্বতন্ত্র প্রক্রিয়া, যা তার আচরণের পরিবর্তন ঘটায় এটি একটি সুধীন ও সর্বজনীন প্রক্রিয়া।